সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সামনেই রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়া। আবার বিয়ের মরসুমও শুরু হতে চলেছে। কিন্তু তারই মাঝে সোনার দাম (Gold Price) নিয়ে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে সকলের। সোনার দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যে কারণে চিন্তায় মাথায় হাত সকলের। বাঙালি বিয়ে সোনা ছাড়া অসম্পূর্ণ। আবার অক্ষয় তৃতীয়াতে সোনা কিনতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু যে হারে সোনার দাম বেড়ে গিয়েছে, সেখানে এক বা দু গ্রাম সোনা কিনতেও মানুষের হাত কাঁপবে। জবাব দিয়ে দেবে আপনার ব্যাঙ্ক কিংবা মানিব্যাগ। তবে সোনা কেনার সময়ে বিশুদ্ধতা দেখে নিতে কিন্তু ভুলবেন না। নইলে ঠকে যেতে পারেন। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে সোনার বিশুদ্ধতা বুঝবেন? তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
সোনার বিশুদ্ধতা বুঝবেন কীভাবে?
ভারতে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল BIS হলমার্কিং। ভারতীয় মান ব্যুরো (BIS)-এর এই চিহ্নটি বিশুদ্ধতার একটি সরকারী গ্যারান্টি। সরকার ২০২১ সালের জুন থেকে এটি বাধ্যতামূলক করেছে। বিআইএস হলমার্কিংয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে – বিআইএসের ত্রিভুজাকার লোগো, সোনার বিশুদ্ধতা (ক্যারেট বা শতাংশে), গয়না প্রস্তুতকারকের পরিচয়। মনে রাখবেন যে কিছু দোকানদার জাল হলমার্কিং ব্যবহার করতে পারে। যদি চিহ্নগুলি অস্পষ্ট থাকে বা তথ্য অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলে ভুলেও সেই দোকান থেকে সোনা কিনবেন না।
ক্যারটের মাধ্যমে আসল সোনা চিনুন
২৪ ক্যারেট সোনা প্রায় ৯৯.৯% খাঁটি, কিন্তু এটি খুবই নরম এবং গয়না ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। এটি মুদ্রা বা সোনার বার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ২২ ক্যারেট সোনা ৯১.৬% খাঁটি। গয়নার জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং নিখুঁত। এতে, ২২ ভাগ সোনা এবং ২ ভাগ অন্যান্য ধাতু মিশ্রিত করা হয়।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বাড়িতে খাঁটি সোনা কীভাবে চিনবেন?
কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে ল্যাব পরীক্ষা ছাড়াই সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে পারবেন আপনি। যেমন এখন সব গৃহস্থ বাড়িতেই ভিনিগার থাকে। সোনার উপর কয়েক ফোঁটা ভিনেগার লাগান। যদি রঙ পরিবর্তন না হয় তবে সোনা আসল। নকল সোনা কালো হয়ে যাবে। এছাড়া গয়নাগুলি জলে রাখুন। আসল সোনা ডুবে যাবে, আর সোনা নকল হলে ভেসে উঠবে। এর কারণ আসল সোনা ভারী। যে সোনাটি পরীক্ষা করবেন সেটি আনগ্লেজড সিরামিকের উপর ঘষুন। সোনালী চিহ্ন বজায় থাকলে বুঝবেন সেটি আসল, আর কালো হয়ে গেলে বুঝতে হবে সেটি নকল। এছাড়া চুম্বকের মাধ্যমেও সোনা যাচাই করা যায়। যেমন আসল সোনা চুম্বকের সঙ্গে লেগে থাকে না।