প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে একের পর এক অশান্তির ছবি উঠে এসেছিল বাংলা জুড়ে। মালদহের মোথাবাড়ির পর মুর্শিদাবাদের কালিয়াগঞ্জ, সামশেরগঞ্জ, সুজাপুর, গুলাবগঞ্জ, মানিকচকের মতো এলাকাগুলিতে বারবার সংঘর্ষ হয়েই চলেছে। নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে অত্যাচারিত হয়ে ভিটে মাটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান
দিনের পর দিন মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি যত অগ্নিগর্ভ হচ্ছিল ততই প্রশাসনের ওপর একের পর এক চাপ বাড়ছিল। এদিকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হয় পুলিশকে। কিন্তু সেই অনুমতিও ক্রমে সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়েছিল। যার ফলে বাধ্য হয়ে গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর তরফে জারি করা নবান্নের (Nabanna) নির্দেশিকায় ডিজি, এডিজি, আইজি, ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারদের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা-সহ একাধিক ক্ষমতাও দেওয়া হয়।
প্রত্যাহার করা হল অতিরিক্ত ক্ষমতা
এই মুহুর্তে মুর্শিদাবাদ-সহ অশান্ত এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আসতে আসতে সেখানকার স্থানীয়রা নিজ নিজ এলাকায় ফিরছে। দোকানপাট খুলছে, ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে এসেছে। কোথাও এখন আর গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরিস্থিতি নেই। তাই এবার পুলিশের কাছ থেকে সেই অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে আবার যদি কোথাও ১৬৩ ধারা জারি করতে হয় সেক্ষেত্রে পুলিশকে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির জন্য। গত ১৭ এপ্রিল জারি করা নির্দেশিকায় আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এই ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, চলতি মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় যেভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেকারণেই জরুরি ভিত্তিতে পুলিশের কিছু পদস্থ কর্তাদের অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তবে এইমুহুর্তে মুর্শিদাবাদ এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত এবং নিয়ন্ত্রণের আওতায় রয়েছে তাই এখন সেই অতিরিক্ত ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। তবে এ ব্যাপারে এখনো সরকারিভাবে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।