শীতের মরসুম আসছে। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আমেজে বেশ আরামদায়ক ফিল হলেও, এই শীতের আগমন সাথে করে নিয়ে আসে বেশকিছু অসুখবিসুখ। এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে ফিট রাখা খুবই জরুরী।কারণ আপনি যদি নিজেকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখেন তাহলে আপনি মৌসুমী ফ্লু থেকে নিজেকে ফিট ও সুস্থ রাখতে পারবেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনি আপনার ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ডিমে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে। শুধু তাই নয়, আপনি যদি ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে ডিম খেয়ে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
সুপারফুডের তালিকায় অন্যতম হল ডিম। হাই প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস হল ডিম, যা শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাস্থমার সমস্যা রয়েছে তাদের রক্ষা করে এই ডিম। আসলে ডিমে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা শরীরের জন্য খুব উপকার সাধন করে। তাই নিয়মিত ডিম খেলে শীতকালে শুষ্ক, ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ঠাণ্ডায় ত্বকের ফেটে যাওয়া শুষ্ক ভাব দূর করতে পারে ডিম।
ডিমেও ভালো পরিমাণে চর্বি পাওয়া যায় তবে তা শরীরের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এই চর্বি শীতকালে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ডিম খেলে তা আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং রোগের শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে পারে। আর ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত মানুষের জন্য ডিম খুবই উপকারী। সূর্যের রশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া গেলেও শীতকালে ফোলাভাব খুব কমই হয়, এমন পরিস্থিতিতে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়, এমন পরিস্থিতিতে ডিম খাওয়া উচিত। এটি দিয়ে আপনি ভিটামিন ডি-এর অভাব দূর করতে পারবেন।
আর যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ডিম খুবই উপকারী। প্রোটিনের পাশাপশি ডিম থেকে ভিটামিন বি ৬, বি ১২, ফসফেট, কোলেন এর মত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এগুলি চোখে ছানি পড়া বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর মতো সমস্যাকে দূরে রাখে। বহু বিশেষজ্ঞ শীতে ডিম খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীর বেশি গরম হয়ে যেতে পারে। তাই দিনে দুটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।